কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন
অনুচ্ছেদ করার প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনুচ্ছেদটি খুঁজে
থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনুচ্ছেদটি তুলে
ধরেছি।আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিজে
উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
বাংলার প্রকৃতি বৈচিত্র্যময়। এখানে প্রকৃতির পরতে পরতে ছড়ানো আছে সৌন্দর্যের নানা
উপাদান। ষড়ঋতু, সাগর-পাহাড়-পর্বত, বন- জঙ্গল, নদী-মাঠ-ঘাট এক হয়ে মিশে আছে রূপসী
বাংলায়। বাংলা মায়ের এই সৌন্দর্য আমাদের চোখ জুড়ায়, মন ভোলায়, হৃদয়ে বয়ে আনে
প্রশান্তি। বঙ্গপোসাগরের উপকূলীয় এই বাংলার প্রকৃতিকে আরও বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত
করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। গত এপ্রিলে গ্রীষ্মের ছুটিতে
আমি আমার পরিবারের সঙ্গে প্রথমবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাই। সাগরপাড়ে
একটানা দখিনা নির্মল বাতাস, সাগরের বিশালতা, দৃষ্টির সীমায় আকাশ ও সাগরের মিলন
সবকিছু এক হয়ে দুচোখ জুড়িয়ে দিল। নির্মল আনন্দে মন ভরে গেল। সকাল দশটায় আমরা
সাগরের লোনা জলে স্নান করে হোটেলে ফিরলাম। বিকালে আবার সাগরপাড়ে গিয়ে বিভিন্ন
রাইডে আনন্দ-হৈ-হুল্লোড় করে নির্মল সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখলাম। অসংখ্য মানুষের
ভিড়ে সাগরপাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে কখন যে দিন পেরিয়ে গেছে বুঝতেই
পারিনি। সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে সূর্য আবার রক্তিম আভা ছড়িয়ে তার সাময়িক বিদায়ের
জানান দিল। অথচ আমার মনের মধ্যে বয়ে চলেছে সাগরের নির্মল বায়ুপ্রবাহ, সাদা ফেনা
নিয়ে আছড়ে পড়া ঢেউ, ছোট ছোট লাল কাঁকড়ার গুটি গুটি পায়ে তীর ঘেঁষে হেঁটে যাওয়া,
সাগরের বুকে ভেসে চলা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার, কক্সবাজার বিমানবন্দরে মাঝে মাঝেই
বিমানের অবতরণ এ সবকিছুই আমার কিশোর মনে প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url