একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদকে খুঁজছেন।
যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন, কেননা আমরা এই ব্লগ পোস্টে
একুশে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই ব্লগ
পোস্টটি শেষপর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
একুশে ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি একটি স্মরণীয় 'অধ্যায়। একদিকে যেমন
অর্জনের দিন, অন্যদিকে হারানোর বেদনার দিন। ব্রিটিশ দুঃশাসনের অবসানের মধ্যদিয়ে
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয়। কিন্তু রাজ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত পশ্চিম পাকিস্তানিরা
প্রথমেই আমাদের ভাষাকে নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। পাকিস্তানের গভর্নর মুহাম্মদ আলী
জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা
দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বীর বাঙালি। তারা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে।
মিছিল মিটিং-এ চারিদিক উত্তাল করে তোলে। ভঙ্গ করে সরকারের দেয়া ১৪৪ ধারা।
পাকিস্তানি শাসক বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে। ১৯৫২
সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সেই গুলিতে রাজপথে শহিদ হন সালাম, বরকত, রফিক, শফিকসহ
অজ্ঞাতনামা অনেকে। কিন্তু দমননীতি দিয়ে বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। জীবনের
বিনিময়ে বাঙালি ভাষাকে রক্ষা করেছে। অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলা ভাষা
রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তার পর থেকে প্রতি বছর এ দিনটির স্মরণে
একুশে ফেব্রুয়ারি 'শহিদ দিবস' হিসেবে পালিত হচ্ছে। একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনার
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবদুল গাফফার চৌধুরী লিখেন- "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি" গানটি। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ভাষার জন্য
আত্মত্যাগের এই বিরল ঘটনাকে সম্মান দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url