ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ পড়ুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। বাংলা পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ আমাদের পড়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই আমরা আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটিতে ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
ফেরিওয়ালা-অনুচ্ছেদ
অনুচ্ছেদটি আমরা খুব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

ফেরিওয়ালা অনুচ্ছেদ

রাস্তার ফেরিওয়ালা বলতে আমরা একজন করুণাযোগ্য ব্যক্তিকে বুঝি যে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র/ পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে। একজন ফেরিওয়ালার জীবন খুবই বৈচিত্র্যময়/ অদ্ভুত। সে সামান্য পুঁজি দ্বারা তার ব্যবসা পরিচালনা করে। সে সাধারণত গলার হার, কানের দুল, ফিতা, টুকিটাকি জিনিসপত্র, গৃহ-সরঞ্জাম, কুমারের তৈরি মাটির জিনিসপত্র ইত্যাদি বিক্রি করে থাকে। মাঝে মাঝে সে মিষ্টি জাতীয় খাবার বিক্রি করে। তাকে কাপড় বিক্রি করতেও দেখা যায়। কোনো কোনো ফেরিওয়ালা রাস্তা ও শহুরে গলির আশপাশে বসবাসকারী গৃহিণীদের আকৃষ্ট করতে তাদের সাথে বাঁশি রাখে। আবার অনেকে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য উচ্চ স্বরে মুখ দিয়ে সুর করে। মাঝে মাঝে শহরের রাস্তা-ঘাটে তাদেরকে এক জায়গায় দাঁড়িয়েও পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সরকার তাদের প্রায়ই উচ্ছেদ করে। বাধ্য হয়েই তারা তখন তাদের অপর্যাপ্ত পণ্য নিয়ে শহরের গলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায়। সব দিনই একজন ফেরিওয়ালার সমান বেচাকেনা হয় না। সে কখনও বেশি আবার কখনও খুব কম লাভ করে। তখন তার পথ চেয়ে বসে থাকা পরিবারের মুখগুলোর চিন্তায় তাকে বিষণ্ণ দেখায়। অন্যদিকে যখন সে ভালো লাভ করে, তখন তার চেহারা খুব হাস্যোজ্জ্বল থাকে। কিন্তু তার পরেও আমাদের দেশের ফেরিওয়ালাদের আর্থিক অবস্থার সামান্যতম উন্নতি হচ্ছে না বললেই চলে। তাদের অধিকাংশ পরিবারই বহু সদস্যে ভারাক্রান্ত, যারা অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা বস্তিতে রোগশোকের সাথে নিত্য সংগ্রাম করে চলে। তাই একজন ফেরিওয়ালার দুর্দশাগ্রস্ত ভাগ্যের অবসান হওয়া উচিত এবং সরকারের উচিত তাদের জন্য স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url