জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে
থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন, কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনার
খোঁজা কাঙ্খিত অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
আপনি যদি জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময়
নষ্ট না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
জাতীয় শোক দিবস
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। ১৯৭৫ সালের
১৫ই আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি সপরিবারে নিহত হন।
এজন্য এ দিনটিকে 'জাতীয় শোক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত
শক্তির নীলনকশায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ডটি ঘটে। এর
মাধ্যমে মূলত তার। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও
সমাজতন্ত্রবিরোধী রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা করে। তারা শুধু মুক্তিযুদ্ধের এ মহান
নেতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার
জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করে। এরপর যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, তারা জাতির
পিতার হত্যার বিচারের ব্যাপারে ছিল নির্লিপ্ত। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ
রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে প্রথমবারের মতো মামলা দায়ের হয়। এ সরকার ১৫ই আগস্টকে জাতীয়
শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়, এরপর থেকে দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। শোক দিবস
উপলক্ষে এ দিন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেমন- জাতির পিতার
প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান, স্মরণ
সভা, কাঙালিভোজ প্রভৃতি। এ দিনটিতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক
সংগঠনের নেতা এবং সর্বস্তরের জনগণ তাদের প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে
বিভিন্নভাবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ দিবস উপলক্ষে বাণী প্রদান করেন।
বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও এ দিনে বিশেষ
অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। এভাবে এ বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। তবে বাংলাদেশের
নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার কর্তব্য বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়
এগিয়ে আসা তবেই, এ দিনটির যথাযথ মূল্যায়ন সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url