জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
ভাব-সম্প্রসারণটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন।
কারণ আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া যাক।
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
মূলভাবঃ মানুষের জন্ম প্রকৃতির
অধীন। তবু সংসারে এখনও এক শ্রেণির মানুষের ভ্রান্ত ধারণা আছে বংশ মর্যাদা
সম্পর্কে। কে কোন্ কুলে জন্মেছে, কোন্ বংশ সম্বংশ, কোন্ বংশ আভিজাত্যহীন, কোন্
বংশের মর্যাদা অপেক্ষাকৃত বেশি এই নিয়ে মাতামাতি তাই রয়েই গেছে। তারা ভুলে যান
জন্মের উপর কারও হাত নেই। তাই জন্মের জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। কর্মই মানুষের
মুখ্য পরিচয়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ কর্ম সাধনের
জন্যই মানুষের পৃথিবীতে আগমন; কর্মই মানুষের প্রকৃত জীবন। কর্মযোগী যিশু আস্তাবলে
জন্মেছিলেন, কবীর ছিলেন জাতিতে তাঁতি, সন্ত রবিদাস জন্মেছিলেন চামারের ঘরে।
কিন্তু তারাই কর্মের সাধনায় সর্বমানবের শ্রদ্ধা-প্রেম-ভক্তি আদায় করে নিয়েছিলেন।
হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে, ভগবৎ পার্যদগণের যে কুলে জন্ম হোক না কেন তাঁরা
নিত্য।সদ্ধপরিকর পরম পূজ্য হন। যেমন প্রহ্লাদ দৈত্যকুলে, হনুমান বানর কুলে ও গরুড়
পক্ষীকুলে জন্মেও পূজ্য পদবাচ্য হয়েছেন। যে বিজ্ঞানী দুরারোগ্য ব্যাধির ঔষধ
আবিষ্কার করল সে কোন্ জাতির লোক কেউ জানতে আগ্রহী নয়। এক বোতল রক্তের বিনিময়ে যখন
একটি প্রাণ বাঁচল তখন সেই রক্তদাতার বংশ পরিচয় নিতে কেউ চায় না। বংশ ও ধন কৌলিন্য
থাকলে অধিকতর কাজের সুযোগ থাকে, সমাজের বেশির ভাগ মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করা যায়
সন্দেহ নেই- কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যিনি জগতের কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে
রাখেন তিনি অধিকতর নিন্দাই হন।
মন্তব্যঃ আসলে যার নিজের প্রতি
শ্রদ্ধা ও গৌরববোধ আছে সেই পারে অপরকে শ্রদ্ধা ও গৌরবের আসনে বসাতে। এর সঙ্গে
জন্মের কোনও সম্বন্ধ নেই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url