জীবে প্রেম করে যেই জন ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে
ঈশ্বর। ভাবসম্প্রসারণ টি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য এই উক্ত ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া
যাক।
জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।
ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষের মাঝেই যে
স্রষ্টার উপস্থিতি; এটা মানুষ সহজেই ভুলে যায়। দেব আরাধনার জন্য নানা জায়গায় মঠ,
মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রভৃতি তীর্থক্ষেত্র তাই সে গড়ে তুলেছে। তার ধারণা
'পূজার্চনার' মাধ্যমে সে দেবতার কৃপাদৃষ্টি ও আশীর্বাদ লাভ করবে। আর এই
উদ্দেশ্যেই মানুষ সবকিছু পেছনে ঠেলে, এমনকি মানবিকতাও দূরে সরিয়ে সে তথাকথিত
দেবতার আরাধনায় নিমগ্ন থাকে।
জীবপ্রেমই ঈশ্বর সেবা। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, 'জীব সেবাই শিব সেবা'- ঈশ্বর সৃষ্ট
প্রাণীর প্রতি সেবা প্রদর্শন করলেই প্রকৃত ঈশ্বর সেবা হবে। ঈশ্বর সব জীবনের মধ্য
দিয়ে সর্বস্থানে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। তাই আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, 'ভজন
পূজন সাধন আরাধনা সমস্ত থাক পড়ে/রুদ্ধদ্বারে দেবালয়ের কোণে কেন আছিস ওরে।' যিনি
সর্বভূতে বিরাজমান তার সন্ধান উপাসনালয়ে নয়, মানুষের অন্তরে করা উচিত। মানুষকে
ভালোবাসলে যেমন মানবতার জয় হয়, তেমনই বিধাতাও খুশি হন। মানুষকে ভালোবেসেই নতুন
পৃথিবী রচনা করা সম্ভব। স্রষ্টা তো অদৃশ্য তার জন্যে পূজার প্রসাদ না রেখে
ক্ষুধার্ত মানুষকে বিলিয়ে দিলেই মানবতার জয় হবে।
তাই মানুষকে বঞ্চিত করে দেবতার সেবা করা ধৃষ্টতার নামান্তর। ধর্মের বা ঈশ্বরের
সত্যিকারের অর্থ একমাত্র সমাজসেবি মানুষের কাছেই স্পষ্ট। সুতরাং নিরন্নকে
অন্নদান, নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দান, দুঃখী-দুস্থকে সমবেদনা প্রকাশ করা প্রত্যেকের
কর্তব্য। তাহলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url