শব্দ দূষণ অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি শব্দ দূষণ অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি খুঁজে
থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের
জন্য শব্দ দূষণ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর বৃথা সময়
নষ্ট না করে নিচে থাকা অনুচ্ছেদটি পড়ে নেয়া যাক।
শব্দ দূষণ
শব্দদূষণ বলতে মানুষের বা প্রাণীর শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী কোনো শব্দ সৃষ্টির
কারণে প্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাকে বোঝায়। বিমান, রেলগাড়ি, ট্রাক, বাস,
মোটর সাইকেল ও অন্যান্য মোটরগাড়ি সবই উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে। শব্দের তীব্রতা
পরিমাপের একক ডেসিবেল (ডিবি)। শব্দের মাত্রা ৪৫ ডিবি হলে সাধারণত মানুষ ঘুমাতে
পারে না। ৮৫ ডিবি হলে শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং মাত্রা ১২০ ডিবি
হলে কানে ব্যথা শুরু হয়। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে শব্দদূষণের মাত্রা বেশি। উচ্চশব্দে
মাইক বাজানো, শহরের স্কুলের বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড় করার শব্দ ও শপিং মলের হট্টগোল
ইত্যাদি শহর অঞ্চলে শব্দদূষণ করে। আমাদের দেশে শব্দ দূষণের প্রভাব ক্রমশ মারাত্মক
হয়ে উঠছে। শব্দদূষণের কারণে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বধিরতা থেকে শুরু করে
হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগের শিকার হচ্ছে। তাছাড়া দুশ্চিন্তা, উগ্রতা,
উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার
কারণ এই শব্দদূষণ। আমাদের দেহের যথেষ্ট সংবেদী অঙ্গ কান। উচ্চশব্দ আমাদের কানের
পর্দাকে অনেক জোরে ধাক্কা দেয়, এতে কানের পর্দাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শব্দদূষণে
আমাদের শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণ রোধে আমাদের সচেতন হতে হবে।
উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। বর্তমানে শব্দদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার
বিভিন্ন প্রযুক্তি বের হয়েছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শব্দদূষণ বন্ধ একান্ত
প্রয়োজন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url