প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত ভাবসম্প্রসারন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার
অধিকার তাহারই ভাব সম্প্রসারণ টি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে
এসেছেন।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য এই উক্ত ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া
যাক।
প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই।
মূলভাবঃ মরণকে জয় করার মধ্যেই
থাকে জীবনের সার্থকতা নিহিত। মানব কল্যাণে অসংখ্য মানুষ হাসিমুখে মৃত্যুকে
আলিঙ্গন করেছে। তারাই পৃথিবীতে অমরত্ব লাভ করেছে।
সম্প্রসারিত ভাবঃ মানুষ মরণশীল।
তাই সর্বদা মৃত্যু ভয়ে যারা ভীত মানব কল্যাণে তাদের তিল পরিমাণ ভূমিকা নেই। বরং এ
প্রকৃতির মানুষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করাকে বড়ো মনে করে। তারা জীবনকে সফলভাবে
উপলব্ধি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। জীবনে দুঃখ আছে বলেই তো সুখের প্রতি মানুষের এত
টান, তদ্রূপ মৃত্যু আছে বলেই তো জীবন পরিপূর্ণ হতে পারে। সব নদী অবিরাম গতিতে তার
শেষ আশ্রয় সমুদ্রের বুকে চলে যাওয়ার মধ্যেই তার সার্থকতা খুঁজে পায়। জীবনও ধেয়ে
চলে মৃত্যুর দ্বারে। এটাই নিয়তির অমোঘ সত্য। তাই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি
মুহূর্তে মৃত্যুর শত-সহস্র ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে মহৎ ব্যক্তিরা পৃথিবীতে তাদের
কর্মে অবিচল। মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতার অনুসন্ধানে তারা নিমগ্ন। তাই মৃত্যু
তাদের কাছে একটি গৌণ বিষয়মাত্র। দেশ, জাতি, মানুষের কল্যাণে তারা মৃত্যুর সমন্ত
যাতনা সহাস্যবদনে মেনে নেয়। তাই আজও মানুষ শ্রদ্ধায় তাদের নাম উচ্চারণ করে।
ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক মানুষ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন,
তাদের বীরত্বের এই ইতিহাস আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। ১৯৭১ সালে মাতৃভূমির
স্বাধীনতার প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্তে বাঙালিরা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের
সূচনা করেছেন। তাই তারা আজ স্মরণীয় বরণীয় হয়ে আছেন।
মন্তব্যঃ জীবনে মৃত্যুভ। মানুষকে
মর্যাদাহীন করে তোলে। আর কাপুরুষোচিত মৃত্যু কোনো মানুষেরই কাম্য হতে পারে না।
বরং বীরোচিত মৃত্যু মানুম্ম্পকে অমরত্ব দিতে পারে। সুতরাং প্রয়োজনে মৃত্যুকে
হাসিমুখে অভিবাদন জানানোর মধ্যে নিহিত থাকে জীবনের সার্থকতা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url