অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা
যেন তারে তৃণসম দহে। ভাব সম্প্রসারণ টি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে
এসেছেন।
কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য উক্ত ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি। চলুন
তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লেখিত ভাব সম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া যাক।
অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
মূলভাবঃ অন্যায় করা আর অন্যায়কে
প্রশ্রয় দেওয়া সমান অপরাধ। অন্যায়ভাবে শক্তিমান, ঐশ্বর্যবান হওয়া যেমন দোষের
তেমনই অন্যায় সহ্য করার মানসিকতাও সমভাবে নিন্দনীয়।
সম্প্রসারিত ভাবঃ সহজ ও সুন্দর
জীবনযাত্রার জন্য প্রত্যেক মানুষেরই কিছু নৈতিক কর্তব্য রয়েছে। সামাজিক অনুশাসনে
নিয়ন্ত্রিত এই অলিখিত কর্তব্যের যথাযথ রূপায়ণ ঘটলে মানুষের মর্যাদাবোধ আহত হয় না।
কিন্তু এই মর্যাদা রক্ষার ক্ষমতা বা সাহস সকলের সমান হয় না। ফলে কিছু লোভী,
পরশ্রীকাতর ও অত্যাচারী মানুষ দুর্বলের ওপর নির্যাতন করার সাহস পায়। সমাজে তাই
দেখা যায়, দুর্বলের ওপর প্রবলের শোষণ, শাসন, অত্যাচার। অন্যায়কারীরা নিজের হীন
ইচ্ছাকে 'বীরভোগ্য বসুন্ধরা' বা Might is right"" ভেবে তৃপ্ত হয়। 'জোর যার মুলুক
তার' এই মনোভাবে বিশ্বাসীরা নিরীহ, শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর চড়াও হয়- সুখশান্তি
ব্যাহত করে, নির্যাতন চালায়, সম্ভ্রম ও শ্লীলতাহানি করে। কেন তারা এমন করতে পারে?
বস্তুত কিছু মানুষের নীরবতা, উদাসীনতা.. কাপুরুষতা, পৌরুষহীনতা পরোক্ষভাবে মদত
জোগায় অন্যায়কারীদের। যদি সমস্ত ভয় ভেঙে দুর্বলের দল, নিস্পৃহের দল অন্যায়কারীর
বিরুদ্ধে মাথা তুলে প্রতিবাদ করত- তবে অন্যায়কারী পিছু হঠতে বাধ্য হতো।
সেক্ষেত্রে অন্যায় কখনোই। সংঘটিত হতে পারত না। সুতরাং অন্যায়কারী এবং অন্যায়ের
প্রশ্রয়দাতা দুজনেই সমান অপরাধী- দুজনেরই শান্তি প্রাপ্য।
মন্তব্যঃ মূলত অন্যায়কে সহ্য
করা, প্রকারান্তরে অন্যায়কে সমর্থন করা। তাই যে অন্যায় করে সে যেমন পাপী যে
অন্যায় কার্যকে সহ্য করে সেও তেমনই পাপী ও ঘৃণ্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url