জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান
ভাবসম্প্রসারণটি খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই
আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান ভাবসম্প্রসারণটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ গুলোর মধ্যে এটিও একটি। আশা করি
ভাবসম্প্রসারণটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট
না করে নিচে উল্লেখিত ভাব সম্প্রসারণটি পড়ে নেওয়া যাক।
জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।
মূলভাবঃ পশুর যেমন হিতাহিত জ্ঞান
নেই, তেমনই জ্ঞানহীন মানুষদেরও বিবেক, বিবেচনা, বোধশক্তি থাকে না। শুধু মানুষ
হিসেবে জন্ম নিলে মানুষ হওয়া যায় না, বরং জ্ঞানার্জনের মধ্যদিয়ে প্রকৃত মানুষ হতে
হয়; তা নাহলে মানুষ আর পশুতে কোনো প্রভেদ থাকে না।
সম্প্রসারিত ভাবঃ পৃথিবীতে মানুষ
জ্ঞানের সাধনা করে বলে সেরা জীব হিসেবে পরিচিত। তাই জ্ঞান মানবজীবনের এক হিরণয়
দ্যুতির নাম। আর জ্ঞানার্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো শিক্ষা। শিক্ষার্জনের ফলে মানুষ
জ্ঞানী হয় এবং তার সমস্ত পাশবিক সত্তা বিনষ্ট হয়; তার অন্তর হয়ে ওঠে পূত-পবিত্র।
তাই বিশ্বব্যাপী অদ্যাবধি শিক্ষার জন্য মানুষের এত আয়োজন। প্রাচীনকালে মানুষ
উপাসনালয়ে যেতেন, ধর্মগুরু কিংবা কোনো মহৎ ব্যক্তির কাছ থেকেও শিক্ষাদীক্ষা লাভ
করতেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, আরও কিছু সম্প্রদায় আছে; যারা তাদের ধর্মগুরু
বা মুর্শিদের কাছ থেকে শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণ করে জ্ঞানার্জনের পথকে সুগম করে।
জ্ঞানার্জনের বিষয়কেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে মানুষ তাই গড়ে তুলেছে পাঠশালা,
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাদীক্ষা ছাড়া বস্তুত
জ্ঞানার্জন সম্ভব হয় না; আল্লাহ তায়ালা শিক্ষার গুরুত্ব প্রতি করার জন্যই
বিশ্বনবি হজরত মুহম্মদ (স.)-এর ওপর পবিত্র কোরআনের প্রথম বানী নাজিল করেন 'ইকরা'
অর্থাৎ পড়। আর হজরত মুহম্মদ (স.) জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীনেও যেতে বলেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো বিশ্বে শিক্ষাদীক্ষা আর জ্ঞানার্জনের জন্য মানুষের অপরিসীম
ত্যাগ- তিতিক্ষা সত্ত্বেও পৃথিবীতে এত অশান্তি কেন? প্রকৃতপক্ষে, যে শিক্ষায়
কিংবা জ্ঞানার্জনে মানুষের মনুষ্যত্ব জাগ্রত হবে না; সেখানে পশুসত্তা প্রবল হওয়াই
স্বাভাবিক। আর পশুসত্তা তথা পাশবিকতা জ্ঞানার্জনের বড়ো অন্তরায়। তাই জ্ঞানহীন
মানুষের অন্তরের পশুশক্তির তাড়নায় নানা ধরনের কুকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তার কাছে
ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির বিচার বিবেচনা মূল্যহীন। এ ধরনের মানুষদের
পশুসুলভ আচরণে বিশ্বে সর্বদা জন্ম দেয়- হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ খুন, ধর্ষণসহ বহুবিধ
অপরাধ।
মন্তব্যঃ তাই মানুষের মধ্যে
পশুত্ব শক্তি সরিয়ে ফেলে বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। বিশ্বশান্তির প্রয়োজনে প্রকৃত
জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে তা করা সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url