পল্লী উন্নয়ন অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি পল্লী উন্নয়ন অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন? যদি
খুঁজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা এই ব্লগ পোস্টটিতে
আপনাদের জন্য পল্লী উন্নয়ন অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
আশা করি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি পল্লী উন্নয়ন
অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্লগ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।
পল্লী উন্নয়ন
আমাদের দেশের শতকরা পঁচাশি অগ মানুষই পল্লিতে বাস করে। তাই আমাদের দেশ যে কতটা
পল্লি বা গ্রামমুখী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের দেশের অর্থনীতি গ্রামীণ
মানুষের কৃষি ও অন্যান্য কর্মের ওপর নির্ভরশীল। কৃষির খামারগুলো এখনও গ্রামের
মাঝেই সীমাবদ্ধ। তাই দেশকে উন্নত করতে হলে সর্বপ্রথম পল্লির উন্নয়ন একান্ত
প্রয়োজন। কিন্তু এদেশের গ্রামের অধিকাংশ জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। এর
ফলে তারা বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারায়। পল্লির এই
দুরবস্থার অন্যতম কারণ হলো অশিক্ষা, কুসংস্কার ও কর্মসংস্থানের অভাব; তাইতো একটু
ভালো খাবার আশায় তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে ভিড় করছে। অনেকে শহরে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও
গ্রামে ফিরে যেতে চান না। ফলে পল্লির উন্নয়ন দুরাশাই থেকে যায়। অতীতে পল্লির ঘরে
ঘরে কুটির শিল্পের প্রচলন ছিল। অবসরে কুটিরশিল্পের কাজ করে তারা বাড়তি টাকা
উপার্জন করত। কিন্তু বর্তমানে যান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে
সেগুলো বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামে রয়েছে নানা অসংগতি। ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে
কৃষকেরা ঋণ না পাওয়ায় গ্রামের মহাজনদের কাছ থেকে তারা উচ্চ সুদে ঋণ নিতে বাধ্য
হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য কারণে ফসল না হলে মহাজনের সুদের টাকা পরিশোধ
করতে ভিটেমাটি বিক্রি করে কৃষক নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ফলে ব্যক্তির উন্নয়ন যেমন ব্যাহত
হয়, তেমনই জাতীয় উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। এই দুরবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পল্লির
জনগণকেই সর্বপ্রথম সচেতন হতে হবে। অবস্থাসম্পন্ন লোকদের গ্রামে গিয়ে কর্মসংস্থান
সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কলকারখানা তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রামের লোকেরা গ্রামে বসেই
উপযুক্ত পারিশ্রমিকে কাজ পায়। শিক্ষিত বেকার যুবকরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে
বৃত্তিমূলক কাজ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টি করতে
হবে। পাশাপাশি গ্রামের কুটিরশিল্পকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক গ্রামে
বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। শিক্ষা সচেতনতার সঙ্গে স্বাস্থ্য, খেলাধুলা ও
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। পুরাতন ধ্যানধারণা ও সামাজিক কুসংস্কার রোধ
করে সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সর্বোপরি পল্লিই আমাদের দেশের প্রাণ। সুতরাং পল্লির উন্নয়ন ছাড়া জাতীয় উন্নয়ন
সম্ভব নয়। তাই সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে পল্লির উন্নয়নের
লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url