ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রতিবেদন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রতিবেদন খুঁজে থাকেন
তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কেননা আমরা আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য
ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রতিবেদন তুলে ধরেছি।
আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ভূমিকম্প সম্পর্কে
প্রতিবেদনটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এ আর্টিকালিটি মনোযোগ সহকারে
সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
মনে কর, তোমার নাম শিমুল। তুমি 'প্রথম আলো' পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। এখন
'ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি' বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি
প্রতিবেদন রচনা কর।
প্রতিবেদকের নাম : শিমুল
প্রতিবেদনের প্রকৃতি : সংবাদ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনাম : ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি
প্রতিবেদন তৈরির সময় : সন্ধ্যা ৬:০০ টা
তারিখ : ২৬শে মে ২০২৪
ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি
বাংলাদেশ কেন ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে তা বুঝতে হলে আমাদের ভূমিকম্প কী এবং তা কেন হয়
সে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে হবে। ভূত্বক পরিবর্তনকারী প্রক্রিয়াসমূহ প্রতিনিয়ত
ক্রিয়াশীল। বৈচিত্র্যময় ভূপৃষ্ঠের আকস্মিক বা দ্রুত পরিবর্তনকারী শক্তিগুলোর
মধ্যে ভূমিকম্প অন্যতম। কোনো কারণে ভূঅভ্যন্তরের বিপুল শক্তি দ্রুত মুক্ত হওয়ার
সময় ভূপৃষ্ঠে যে প্রবল ঝাঁকুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
ভূঅভ্যন্তরের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে কেন্দ্র বলে। কেন্দ্রের সোজা
ভূপৃষ্ঠস্থ বিন্দুর নাম উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুযায়ী পৃথিবীর
একপ্রান্তে অবস্থিত ভূকম্পনকেন্দ্র হতে সৃষ্ট তরঙ্গমালা পৃথিবীর অপরপ্রান্ত
পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। অবশ্য কেন্দ্র হতে তরঙ্গগুলো যতই দূরে অগ্রসর হয় ততই
নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মৃদু কিংবা প্রবল ভূমিকম্প মাপার এককের নাম রিখটার স্কেল।
ভূমিকম্পের কারণ অনুসন্ধানকালে ভূবিদগণ লক্ষ করেন, পৃথিবীর কয়েকটি বিশেষ অঞ্চলে
অধিক ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। তাঁদের মতে, নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালা, প্লেটসমূহের
সীমান্ত অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। ভূমিকম্প এমন এক ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক
দুর্যোগ যে, যার পূর্বাভাস দেওয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়নি।
এ কারণে ভূমিকম্পে যাতে অধিক জানমালের ধ্বংস না হয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সরকার
অনুমোদিত বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভূমিকম্পের পরবর্তী সময়ে যেন
খাদ্য, পানীয় ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় সেদিকে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে
হবে। তবে সরকারের একার পক্ষে এ ধরনের মহাবিপর্যয় মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
বিভিন্ন দাতাসংস্থা ও এনজিও এক্ষেত্রে নানা ভূমিকা পালন করতে পারে।
দাতাসংস্থাগুলা ভূমিকম্প মোকাবিলায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি
আর্থনীতিক ও অন্যান্য সহযোগিতা করতে পারে। আর এনজিওগুলো যেহেতু একেবারে গ্রাম
পর্যায়ে বিস্তৃত, তাই তারা জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে।
এছাড়া ভূমিকম্পের ওপর যে উন্নত প্রযুক্তি বিদেশে উদ্ভাবিত হয়েছে, আমাদের দেশের সে
বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে হবে। ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক দিক আসলে বিস্তৃতমুখী।
তাই এর মোকাবিলার পদ্ধতিও বহুমুখী হতে পারে। আমরা একদিকে এর মোকাবিলা করতে পারব
না ঠিকই কিন্তু এর জন্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url