শীতের সকাল অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। নিশ্চয়ই আপনি শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি খুঁজছেন। আমরা আপনাদের জন্যই আর্টিকেলটিতে শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ৩টি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শীতের-সকাল-অনুচ্ছেদ
আশাকরি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে আর বৃথা সময় নষ্ট না করে নিচে উল্লিখিত শীতের সকাল অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতের সকাল অনুচ্ছেদ

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - ১

কুয়াশার স্বপ্ন চাদর মুড়ি দিয়ে শীতের আগমন ঘটে। শীতের সকাল আবির্ভূত হয় এক ব্যতিক্রমী সৌন্দর্যের রূপমাধুরী নিয়ে। শীতের সকাল মানবমনে এক বিচিত্র অনুভূতি সঞ্চার করে। সকালের মিষ্টি রোদমাখা প্রকৃতি সকলের কাছে খুবই প্রিয়। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের উত্তাপ ছড়াতে একটু বেগ পেতে হয়। শীতের সকালের কুসুমকোমল সূর্যের রূপ অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। পাতাঝরা কুয়াশামোড়া সকালের দিকে তাকালে মন উদাসী বাউল হয়ে ওঠে। কনকনে শীত বৃদ্ধের হাড় কাঁপিয়ে তোলে। ছেলে, বুড়োবুড়ি, বাচ্চা সকলে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে আগুন পোহাতে বসে। কেউ কেউ সকালের মিষ্টি রোদে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করে। শীতের সকালে ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু মুক্তোর মতো আভা ছড়ায়। গাছের পাতা থেকে টপটপ করে শিশির পড়ে। শীতের সকালে শহরের মানুষকে বেড়িয়ে পড়তে হয় কর্মস্থলের উদ্দেশে। গাঁয়ের কিষান-কিষানি তাদের মৌসুমি ফসল ঘরে তোলার জন্য কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীতের সকালে প্রিয় খাবার পিঠাপুলি। উনুনের পাশে বসে আগুনের উত্তাপে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। সকালে খেজুর রসের মিষ্টতা সারাদিনের তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয়। শীতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ কেবল গ্রামের মানুষই করতে পারে। শীতের সকাল যেন কুয়াশায় ঘোমটা মুড়ি দেওয়া এক গ্রাম্য বধূ, দুচোখ তুলে সে লাজ-জড়তায় ভালো করে তাকাতে পারে না। রূপসি বাংলার প্রাঙ্গণে শীতের সকাল এক অনন্য নিসর্গ-সৌন্দর্য বিস্তার করে।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - ২

বলা বাহুল্য যে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের কোন কমতি নেই। ঘর থেকে বার হয়ে বৃষ্টি মেলালেই চোখে পড়ে সবুজে চেয়ে থাকা গাছপালা এবং নীল আকাশ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যপূর্ণ উপাদান গুলোর মধ্যে শীতের সকাল অন্যতম। বাংলাদেশের সাধারণত পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস মিলে শীতকাল। শীতের স্নিগ্ধ ঠান্ডা বাতাস এবং নৈসর্গিক রূপ দেখা দেয় শীতের সকালে। আশেপাশের সবকিছু ছেয়ে থাকে কুয়াশার চাদরে। শীতের সকালে ঘাসে ছেয়ে থাকে বিন্দু বিন্দু শিশির কনা। ঘাসে ছেয়ে থাকা শিশির কনা সূর্যের আলোয় প্রতিফলিত হয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। এ সময় রোদের দেখা স্বল্প পরিমাণে মিললেও ধীরে ধীরে মুখ বাড়িয়ে হাসে সোনালী সূর্য। শীত আগমনের সাথে সাথে শীতের সকালে গ্রামের শুরু হয় পিঠা উৎসব। হিমশীতল ঠান্ডায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে দুধপুলি, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, চন্দ্রপুলি, দুধচিতই খাবার অনুভূতিটা যে কত তৃপ্তির তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকাল আমার প্রিয় মুহূর্ত যা অপূর্ব নইসর্গিক উপাদানে ভরপুর।

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - ৩

শীতের সকাল একটি ভিন্নতর সকাল। এটা রং, বৈচিত্র্য, স্বাদ ও আকর্ষণেও আলাদা। সূর্য দেরিতে উঠে। সূর্যালোকে ঘাস পাতার ওপর পতিত শিশির বিন্দুকে মুক্তোর ন্যায় দেখায়। প্রকৃতি হয়ে পড়ে অবসন্ন এবং কুয়াশা তাকে ঢেকে দেয়। সবকিছুকে আবছা দেখায়। ঠাণ্ডা প্রবাহ থাকে সর্বত্র বিরাজমান। জীবন মনে হয় অত্যন্ত অসাড়। জনগণ হয়ে যায় অলস ও তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং লেপের নিচে থাকতে পছন্দ করে। তারা রোদ পোহানোর অভ্যাস গড়ে তোলে। গ্রামবাসীরা ও গরিবেরা খড়কুটা জড়ো করে এবং নিজেদেরকে উত্তপ্ত করার জন্য তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। শীতের নাস্তার থাকে বিশেষ আকর্ষণ ও স্বাদ। শীত বিভিন্ন পিঠা, গুড়, মুড়ি, খই, মোয়া ইত্যাদি উপহার দেয়। খেজুরের রস এ সময়ের জনপ্রিয় পানীয়। সূর্য ঊর্ধ গগনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শীতের মুগ্ধতা শেষ হয়ে যায়। যাহোক, শীতের সকাল আমাদের জন্য আনন্দ ও দুঃখ দুই-ই বয়ে আনে। যাদের আছে তারা একে উপভোগ করে আর যাদের নাই তারা প্রচুর কষ্ট পায়। দুঃখ সত্ত্বেও একটি শীতের সকাল আরামদায়ক ও উপভোগ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url