কিভাবে চিকন হওয়া যায় - ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়

আসসালামু-আলাইকুম প্রিয় পাঠক। কিভাবে চিকন হওয়া যায় এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা এই আর্টিকেলটিতে আপনি কিভাবে চিকন হওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য পেয়ে যাবেন।
কিভাবে-চিকন-হওয়া-যায়
আর্টিকেলটিতে আমরা চিকন হওয়ার সকল উপাই সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি চিকন হতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে চিকন হওয়া যায় - ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়

ভূমিকা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ওজন এবং অতিরিক্ত মেদ যুক্ত শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। অনেকেই চান শরীরের ওজন কমিয়ে একটু স্লিম হতে। আবার অনেকে এমনও রয়েছে যারা চিকন হওয়ার জন্য খাবার খাওয়া কমিয়ে দেয়। এর ফলে চিকন হয়ার পরিবর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আপনি আমদের এই আর্টিকেলটিতে কিভাবে চিকন হওয়া যায়, ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়, চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা, চিকন হওয়ার ব্যায়াম, ১ মাসে চিকন হওয়ার উপায়, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে চিকন হওয়ার বিভিন্ন উপাই সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক।

কিভাবে চিকন হওয়া যায়

চিকন হওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু উপায় রয়েছে যা অস্বাস্যকর।তবে আমরা চিকন হওয়ার যে উপায়গুলো তুলে ধরেছি তা স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর। আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই এসব পদ্ধতি অবলম্বন থেকে বিরত থাকাই ভালো। আপনি নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসে খুব সহজেই চিকন হতে পারেন। নিচে ওজন কমানো বা চিকন হওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলোঃ

১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস গঠন করা

  • প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়াঃ অনেকেই মনে করে প্রোটিন যুক্ত খাবারে শরীরের ওজন আরো বেড়ে যায় তবে এ ধারণা একদমই ভুল। কেননা প্রোটিন যুক্ত খাবার ওজন কমাতে সহায়তা করে। প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কমায়। যার ফলে আমরা অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পারি। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলি হচ্ছে ডিম, দই, মুরগি, মাছ, বাদাম ইত্যাদি।
  • সবজি এবং ফলমূল খাওয়াঃ চিকন হতে আপনি খাবার তালিকায় সবজি এবং ফলমূল রাখতে পারেন কেননা সবজি এবং ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং এসব কম ক্যালরি যুক্ত হওয়ায় ওজন কমাতে বেশ সহায়তা করে। গাজর, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, ফলমূল ইত্যাদি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর।
  • সম্পূর্ণ শস্য গ্রহণ করাঃ আমরা অনেকেই ভাত, রুটি, পাস্তা ইত্যাদি খেয়ে থাকি। তবে চিকন হতে চাইলে এ সকল খাবারের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, বার্লি, ওটমিল ইত্যাদি বেছে নিন।
  • প্রক্রিয়াজাত এবং চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুনঃ চিকন হতে চাইলে অবশ্যই প্রক্রিয়াজাত এবং চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিঙ্ক এ সকল জাতীয় খাবার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করে ওজন বৃদ্ধি করে। তাই ওজন কমাতে প্রক্রিয়াজাত এবং চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকায় উত্তম।

২। নিয়মিত ব্যায়াম করা

  • যোগব্যায়ামঃ যোগব্যায়াম এমন এক প্রকার ব্যায়াম যা আপনার স্ট্রেস কমাতে এবং শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত যোগব্যায়াম চর্চা করেন তাহলে আপনার পাতলা হওয়ার বা ওজন কমানোর কমানোর প্রক্রিয়াটি আরো সহজ হতে পারে।
  • কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামঃ কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। তাই পাতলা হতে আপনি সাইক্লিং, দৌর, হাটা, সাঁতার ইত্যাদি কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম গুলি করতে পারেন।
  • শক্তি প্রশিক্ষণঃ ওজন বা রেজিস্ট্যান্স ব্যায়াম সমূহ পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং শরীরের (BMR) অর্থাৎ বিশাল মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। যা ক্যালোরি পড়ানোর হার বৃদ্ধি করে।

৩। পানি পানের অভ্যাস

আমরা সকলেই জানি পানির অপর নাম জীবন। চিকন হতে হলে পানি পানির অভ্যাস করতে হবে কেননা পর্যাপ্ত পানি পানের ফলে আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ফ্যাট পোড়ানোর প্রক্রিয়া তান্ত্রিত হয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না।

৪। পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা

ঘুমের অভাব শরীরে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কেননা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরে হর মনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এটি ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের সকলকেই প্রতি রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

৫। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অতিরিক্ত স্টেসে থাকেন। পাতলা হতে হলে অবশ্যই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে হরমোন কার্টিসল বৃদ্ধি পায় যার ফলে ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া এবং ফ্যাট জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারেন।

৬। স্বাভাবিক খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ

অনেকে পাতলা হওয়ার জন্য খাবারের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় হঠাৎ করে কমিয়ে দেয় এমনটি না করে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনি খাবার সময় ছোট সাইজের প্লেট বেছে নিন এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থেকে পরিমাণমতো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা

নিয়মিত নিজের ওজন পরীক্ষা করুন। এটি আপনার অগ্রগতির পরিমাপ করতে এবং আপনাকে মোটিফাইটেড থাকতে সহায়তা করবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়া বা ওজন কমানোর বেশ কয়েকটি কার্যকরী উপায় রয়েছে। যা দৈনন্দিন অভ্যাস এবং প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে করা যায়। নিচে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলোঃ
লেবু পানি পানঃ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীরের টক্সিন দূর হবে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। গ্রিন টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হতে চাইলে দিনে দুই থেকে তিন কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি পান করতে পারেন।
আদা ও মধু চাঃ আদা শরীরের ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে এবং মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি যা খেলে ওজন বাড়ার কোনো ভয় নেই। তাই আদা কুচি করে গরম পানিতে ফুটিয়ে এবং তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি আপনার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি শরীরে মেদ কমিয়ে চিকন হতে সাহায্য করবে।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই জনপ্রিয়। কেননা এটি আমাদের শরীরের ফ্যাট কমানোর পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন বা ওজন কমাতে চাইলে সকালে এক গ্লাস পানিতে ১ থেকে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।
শসার পানিঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হতে শসার পানি খেতে পারেন। শসার পানি হাইড্রেশনে ভরপুর এবং এতে ক্যালরির পরিমান খুবই কম থাকে। শসা ছোট ছোট টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঐ পানি দিনে ২-৩ বার পান করেতে পারেন এর ফলে আপনার শরীরের টক্সিন বের হওয়ার পাশাপাশি চিকন হতেও সাহায্য করবে।
চিয়া বীজ এবং লেবুর শরবতঃ এক গ্লাস পানিতে পরিমান মতো চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন এটি যখন পানিতে ফুলে উঠবে তখন এটিতে লেবুর রস মিসিয়ে পান করুন। এটি শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ওজন কমেতে সাহায্য করে।
হলুদ এবং দুধঃ হলুদে অবস্থিত কারকিউমিন উপাদান ওজন কমাতে বেশ কার্যকরি। রাতে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে আধা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে আপনার শরীরের ফ্যাট কমতে সহায়তা করবে।

এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায় সহজ উপাই গুলি হচ্ছেঃ

  • নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা।
  • সোডা এবং মিষ্টিজাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • খাবারের পরিমান নিয়ন্ত্রন করা এবং সঠিক সময়ে খাওয়া।
  • ঘরে বসে যোগব্যায়াম করা ইত্যাদি।

চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা

আমরা অনেকে চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা সম্পর্কে না জানার কারনে ওজন কমানোর কার্যকরি খাবার সমূহ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারিনা। চিকন হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা নির্বাচন করা খুবিই জরুরী। আপনার ওজন কমাতে বা চিকন হতে সহায়ক হতে পারে এমন খাদ্য তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

সকালের নাস্তা

  • সকালের নাস্তায় পানিতে সিদ্ধ ওটমিল বা দুধে মেশানো ওটসের সাথে কিছু ড্রাইফুড মিসিয়ে খেতে পারেন।
  • টমেটো, পেয়াজ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবজি দিয়ে ডিমের অমলেট তৈরি করে খেতে পারেন।
  • এছাড়াও চিয়া বীজ এবং মধু মিশ্রিত গ্রিক দই খেতে পারেন।

দুপুরের খাবার

  • পরিমান মতো বাদামি ভাতের সাথে সবুজ শাকসবজি এবং মাছ বা গ্রিলড মুরগি খেতে পারেন।
  • পাতা শাক এবং এক বাটি মসুর ডাল খেতে পারেন।
  • এছাড়াও স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যে খাবারই খান না কেন অতিরিক্ত পরিমানে না খেয়ে পরিমান মত খাবেন।

রাতের খাবার

  • গ্রিলড মাছ অথবা চিকেনের সাথে রান্না করা সবজি খেতে পারেন।
  • সবুজ শাকসবজি ও কুইনোয়া মিশিয়ে স্যালাড বানিয়ে খেতে পারেন।
খাবার তালিকায় এসকল খাবার গুলি রাখার পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পানি পান করবেন, পরিমিত খাবার গ্রহনের অভ্যাস গড়ে তুলবেন, বেশি বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন এবং চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকবেন।

চিকন হওয়ার ব্যায়াম

চিকন হওয়া বা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্যায়াম খুবই কার্যকারি ভূমিকা পালন করে থাকে। নিচে কিছু প্রাথমিক ব্যায়াম এবং এর উদাহরন দেওয়া হলো যা নিয়মিত করলে আপনি শরীরের সুন্দর গঠন বজায় রেখে চিকন হতে পারবেনঃ
  • কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়ামঃ যেমন- দৌড়ানো, হাঁটা, সাইক্লিং করা, সাঁতার এবং জাম্পিং জ্যাক।
  • হাই ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিংঃ এই ব্যায়ামের উদাহরন হচ্ছে ৩০ সেকেন্ড জরে দৌড়ানো এর পর ৩০ সেকেন্ড রেস্ট। এভাবে কয়েকবার করবেন।
  • প্ল্যাঙ্কঃ এটি এক ধরনের স্থির ব্যায়াম। এটি করার নিয়ম হলো কনুই এবং পা এর আঙুলের ওপর ভর দিয়ে সোজা অবস্থানে থাকতে হবে। এর ফলে পেটের ফ্যাট এবং পেশী মজবুত হবে।
  • স্কোয়াটঃ এ ব্যায়াম হিপের ফ্যাট কমেতে সহায়তা করে। স্কোয়াট করার নিয়ম হচ্ছে দুই পা সামনে রেখে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে হাটু বাকিয়ে বসার ভঙ্গি করুন আবার দাঁড়ান।
  • লাঞ্চেসঃ এটি করতে এক পা সামনে রেখে বসার চেস্টা করুন এবং আরাক পা পিছে প্রসারিত রাখুন।
  • বাইসাইকেল ক্লাঞ্চঃ এই ব্যায়াম পেটের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এই ব্যায়াম করার নিয়ম হলো ফ্লোরে শুয়ে দুই হাত মাথার পিছনে রাখতে হবে। এক পা ভাজ করে উপরে তুলে রাখতে হবে এবং অপর পা সোজা রাখতে হবে এরপর কনুই দিয়ে বিপরিত হাটুতে ছোয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • লেগ রেইজঃ লেগ রেইজ করতে ফ্লোরে শুয়ে দু হাত পাশে রেখে পা একসাথে সোজা করে উপরে তুলতে হবে এবং আস্তে আস্তে নামিয়ে আনতে হবে।
  • বাইরের কার্যক্রমঃ শারীরিক প্ররিশ্রম হয় এমন কাজ করুন, হাঁটুন, লিফট না ব্যবহার করে সিড়ি ব্যাবহার করুন। বসে না থেকে বাড়ির কাজ করুন।

১ মাসে চিকন হওয়ার উপায়

এক মাসে অনেক বেশি চিকন হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। তবে আপনি নিয়ম মেনে যদি চিকন হাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে এক মাসে কিছুটা ওজন কমাতে পারবেন। মনে রাখবেন হটাৎ করে ওজন কমে যাওয়া কখনই স্বাস্থের জন্য ভালো হতে পারে না। তাই চিকন হতে চাইলে আমদের এই আর্টিকেলের সকল নির্দেশনা গুলি ফলো করুন। ইন শা'আল্লাহ ভালো ফল পাবেন।

শেষকথা

প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। এমন বিভিন্ন ধরনের টপিকে পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন। আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত আমি বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url