শৈশব স্মৃতি অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনি কি শৈশব স্মৃতি অনুচ্ছেদটি খুজছেন? যদি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক যায়গায় চলে এসেছেন। আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য শৈশব স্মৃতি অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
শৈশব-স্মৃতি-অনুচ্ছেদ
আশাকরি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শৈশব স্মৃতি অনুচ্ছেদটি পড়ে নেওয়া যাক।

শৈশব স্মৃতি

আমার ছেলেবেলার দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। তবে স্মৃতি হলেও শৈশবের সেই আনন্দের দিনগুলো আজও অমলিন। যখনই সেইসব দিনের কথা মনে পড়ে তখনই মন আনন্দে ভরে ওঠে। অনেক রঙিন ঘটনা মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। আমার শৈশব স্মৃতির মধ্যে মায়ের স্মৃতি সবচেয়ে উজ্জ্বল। কিছুতেই মায়ের সঙ্গে মধুময় স্মৃতি ভুলতে পারি না। মা তাঁর জীবনের চেয়েও আমাকে বেশি ভালোবাসতেন। আমার খুশিতে মা খুব খুশি হতেন এবং আমি একটু অসুস্থ হলে মা খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন। স্কুল বা অন্য কোথাও থেকে বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হলে মা খুব উদ্বিগ্ন মনে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করতেন। মায়ের স্মৃতি মনে হলে আমার পক্ষে নিজেকে সামলানো কষ্ট হয়। ছোটোবেলায় আমি দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। হইচই করে সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতাম। একদিন বাবা বললেন, শিক্ষা জীবনে আনন্দ ও সুখের সঞ্চার করে। তোমাকে লেখাপড়া শুরু করতে হবে। পরদিন বাবা বাজার থেকে আমার জন্যে নতুন বই, কলম ও জামা-কাপড় নিয়ে এলেন। বাড়িতে আমার জন্য গৃহশিক্ষক রাখা হলো, তাঁর কাছে আমার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। এর কিছুদিন পরই শুরু হলো আমার স্কুলে যাওয়ার পালা। সমবয়সিদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা ছিল খুবই আনন্দের। স্কুলে শিক্ষকদের আদর-স্নেহ-শাসন আর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা ও গল্প করা ছিল খুবই উপভোগ্য। বাবা ছিলেন আমার অকৃত্রিম বন্ধু। বাবা আমাকে লেখাপড়া, বাইরে চলাফেরা সম্পর্কে নানা উপদেশ দিতেন। কী করলে মানুষের মতো মানুষ হতে পারব, সে কথা বলতেন। পরীক্ষার দিন বাবা বলতেন সবাইকে সালাম করতে হবে, দোয়া চাইতে হবে এবং প্রশ্ন বুঝে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে হবে। বাবার এসব উপদেশ আমার জীবনে কল্যাণ বয়ে এনেছে। এছাড়াও তিনি মজার মজার গল্প ও গান শোনাতেন। আজ বাবা নেই, কিন্তু বাবার কথাগুলো আজও আমার মনে অম্লান হয়ে আছে। শৈশবের আনন্দের আর একটি স্মৃতি হলো- নৌকাযোগে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়া। নানি আমাকে খুব আদর করতেন, তার নিজের হাতের তৈরি চিড়া, মুড়ি, নাড়ু ও পিঠা খেতে দিতেন। মামা আমাকে তাদের গ্রামের বাজারে নিয়ে যেতেন। আর নানার কাছে খেলনা কিনে দেওয়ার বাহানা ধরতাম। এখন দিন আসে দিন যায়। দিন বদলের পালাক্রমে কত স্মৃতি এসে জীবনের পাতায় জমা হয়। কিন্তু শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলো কোনোভাবেই ভোলা যায় না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url