বৃক্ষরোপণ অনুচ্ছেদ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি কি বৃক্ষরোপণ অনুচ্ছেদটি খুজছেন? যদি খুজে থাকেন তাহলে একদম সঠিক যায়গায় চলে এসেছেন। কেননা আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য বৃক্ষরোপণ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
বৃক্ষরোপণ-অনুচ্ছেদ
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আশাকরি অনুচ্ছেদটি আপনাদের উপকারে আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

বৃক্ষরোপণ

বৃক্ষরোপণ মানে পরিকল্পিতভাবে বেশি করে গাছ লাগানো। পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু আমরা বেপরোয়াভাবে গাছ কেটে ফেলছি এবং এর ফলে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে তুলছি। পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে। তাই বৃক্ষ রোপণ এখন সময়ের দাবি। উপরোক্ত বিষয় ব্যতীত, গাছগুলি বিভিন্ন উপায়ে আমাদের সাহায্যে আসে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে, অক্সিজেন দেয় এবং বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করে। তারা আমাদের আশ্রয়, ছায়া, খাবার, ফল ইত্যাদি দেয়। তারা আমাদের পরিবেশকে নানাভাবে সাহায্য করে। তারা মাটির ক্ষয় রোধ করে। তারা আমাদের জমি উর্বর করে তোলে। তারা আমাদের খরা থেকে রক্ষা করে। বন্যা ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি আমাদের অঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত হতে বাধা দেয়। পর্যাপ্ত গাছ না থাকলে দেশে বৃষ্টিপাত কম হবে। আবহাওয়া গরম থাকবে। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে। মানুষ খাদ্য, ছায়া ও অক্সিজেনের সংকটে ভুগবে। পাখি ও পশুপাখি তাদের আবাসস্থল হারাবে। পরিবেশগত ভারসাম্য থাকবে না। একটি দেশে কমপক্ষে 25% বনভূমি থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে পর্যাপ্ত বনভূমি নেই। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। টিভি ও রেডিওর মতো গণমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে হলে আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। আমাদের দেশে জুলাই ও আগস্ট মাস গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। এ সময় আমাদের আরো বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বেশি বেশি গাছ না লাগালে পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব আর থাকবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url