জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। আপনি যদি জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদটি খুজে থাকেন
তাহলে একদম সঠিক যায়গায় চলে এসেছেন। আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জন্য জলবায়ু
পরিবর্তন অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেছি।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে এটিও একটি। আশাকরি আপনাদের উপকারে
আসবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি জলবায়ু পরিবর্তন অনুচ্ছেদটি পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন
তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন হল বৈশ্বিক বা আঞ্চলিক জলবায়ু প্যাটার্নের পরিবর্তন। এটি
পৃথিবীর গড় পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বোঝায়। জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান
বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা এবং এটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক স্তরের সকল স্তরের
মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং কর্মীরা বেশিরভাগই জলবায়ুর
দ্রুত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হল জীবাশ্ম
জ্বালানি, যেমন তেল এবং কয়লা পোড়ানো, যা বায়ুমণ্ডলে বেশিরভাগ কার্বন ডাই
অক্সাইড গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে। অন্যান্য মানবিক ক্রিয়াকলাপ, যেমন কৃষি এবং
বন উজাড়, এছাড়াও গ্রিনহাউস গ্যাসের বৃদ্ধিতে অবদান রাখে যা জলবায়ু পরিবর্তন
ঘটায়। জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খারাপ প্রভাব
ফেলে। এই প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস এবং কার্বন ডাই
অক্সাইড গ্যাস নির্গমন, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, বন্যার
উত্থান, ঘূর্ণিঝড়, ঝড়-বৃষ্টি এবং খরা ইত্যাদি। কোনো সন্দেহ নেই, এগুলো
উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষি ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশ তার
ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এক মিটার
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাংলাদেশের মোট এলাকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হয়ে
পড়বে, যা বাংলাদেশের 25-30 মিলিয়ন মানুষকে উপড়ে ফেলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের
খারাপ প্রভাব কমাতে জনগণকে সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব কমাতে
আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে সতর্ক থাকতে হবে। আসলে জলবায়ু
পরিবর্তনের খারাপ প্রভাব কমাতে আমাদের সকলের একযোগে কাজ করা উচিত, তা না হলে
আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url